সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে শিকার করা প্রায় সাড়ে ৩৭ মণ চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের মধ্য থেকে ৭ জনকে আটক করা হয় এবং একজন পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নং কয়রা গ্রামের মো. মোস্তফা সানা (৪০), মো. মিজানুর রহমান (২৮), মো. আছাদুল ইসলাম (৩৭), মো. আছাদুল ইসলাম (৩৫), মঠবাড়িয়া গ্রামের আনারুল (৪০), মহারাজপুর গ্রামের মো. সাইফুল্লাহ গাজী (৩০), মিলন গাজী (৩৭)। এ সময় ৪ নং কয়রা গ্রামের ইব্রাহিম সানার ছেলে বাসার সানা ( ৫৫) পালিয়ে যায়।
জানা যায়, খুলনার কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মাদারবাড়িয়া বটতলা নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষ দিয়ে ধরা মাছ কাটায় বিক্রির উদ্যেশ্যে নিয়ে আসার সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নিজে উপস্থিত থেকে চারটি নসিমনসহ আট জনকে আটক করেন। তবে একজন পালিয়ে যায়। পরে চিংড়িসহ অন্য সাত জনকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুর ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েকটি নছিমনে করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে চিংড়ি বোঝাই চারটি নছিমন জব্দ করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে মাছগুলো সুন্দরবনের মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের। তার নির্দেশে এ মাছ আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
১ জুন থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীরা সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই