প্রথম ওভারে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৬২ রানে ৫ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে আরও বিপদে পড়তে দেননি হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে জুটিতে ৬৬ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে লড়াই করার মতো ১২৮ রানের পুঁজি এনে দিয়েছেন তাঁরা। নিকোলস–ব্লান্ডেল দারুণ জুটিতে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করেছে। সিরিজ জয়ে বাংলাদেশে প্রয়োজন সিরিজ জয়ে বাংলাদেশে প্রয়োজন ১২৯ রান রান।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিন অ্যালেন আক্রমণাত্মক সূচনা। দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান, প্রথম ওভারেই আসে ১১। উইকেট থেকে স্পিনাররা বড় কোন সুবিধা না পাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বল তুলে দেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে।
আর তাতেই ব্যাকফুটে নিউজিল্যান্ড। ওভারের প্রথম বলেই ফেরালেন অ্যালেনকে, পরের ৫ বল ডট দিয়ে নেন উইকেট মেইডেন। ক্রিজে নেমে প্রথম ৫ বলে কোন রান না নেয়া উইল ইয়াং রাবিন্দ্রাকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে থাকেন।
পাওয়ার প্লে শেষে কিউইরা স্কোরবোর্ডে তোলে ৪০ রান। তবে সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে উইল ইয়াং এবং কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন।
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর রবিন্দ্র এবং টম ল্যাথাম মিলে হাল ধরার চেষ্টা করলেও মাহমুদউল্লাহ’র দারুণ এক ফ্লাইট ডিলেভারিতে বোল্ড হন রবিন্দ্র। ২০ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপরের ওভারেই শেষ মেহেদির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন ল্যাথাম।
১১ ওভারে ৫ উইকেট হারালেও হেনরি নিকোলস এবং টম ব্লান্ডেল মিলে দলকে টেনে নিতে থাকেন। তাদের ব্যাটে ১৮তম ওভারে দলীয় ১০০ পার করে কিউইরা। শেষ দুই ওভারেও দুজন মিলে লড়াই চালিয়ে যান। তাদের ৫৫ বলে ৬৬ রানের জুটিতে ভর করে ১২৮ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ একাদশ: নাইম শেখ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, ফিন অ্যালেন, টম লাথাম (অধিনায়ক), কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, উইল ইয়াং, হেনরি নিকোলস, কোল ম্যাকনকি, ডগ ব্রেসওয়েল, এজাজ প্যাটেল, স্কট কুগেলিন এবং জ্যাকব ডাফি।