তেরখাদা উপজেলার হাটবাজারে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নানা বাহানায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সবজি, মাছ, আলু, তেল, চাল সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম।
ক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর মজুদ রয়েছে প্রচুর, তারপরও দাম আকাশ ছোঁয়া। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে সবকিছু ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
বিক্রেতারা বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০, লাউ পিস ৮০, পটোল প্রতি কেজি ৮০, বাঁধাকপি ৮০, বেগুন ১২০, মুলা ৮০, শসা ৯০, গাজর ১৮০, তিতা করল্লা ৯০, কাঁকরোল ১২০, বরবটি ১২০, আলু ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট লাল শাক ৩০, ঘি-কাঞ্চন ৩০ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ১৩০, রসুন ২২০, আদা ২০০, মোটা মসুর ডাল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম ১ হালি ৫৫ টাকা। মুরগি ব্রয়লার ১৯৫, দেশি ৪৫০, সোনালি ৩৪০ টাকা কেজি।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এর মধ্যে গরুর মাংস ৭৫০, খাসি মাংস ১১০০ টাকা।
নিত্যপণ্যের এমন মূল্যের সঙ্গে কিছুতেই যেন পেরে উঠছেন না স্বল্প আয়ের মানুষ। এতে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার টাস্কফোর্স গঠন করলেও ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন না। আয়ের বড় অংশই নিত্যপণ্যের পেছনে ঢেলে মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে বাজারের লাগাম টানতে সরকার টাস্কফোর্স গঠন করলেও ক্রেতারা তার ফলাফলে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। সরকার বেঁধে দেওয়া পণ্যের যৌক্তিক মূল্য মানছেন না ব্যবসায়ীরাও। বেশির ভাগ দোকানেই পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতারা ঠকছেন।
ডিম বিক্রেতা মলায় সাহা বলেন, ‘লাল ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৬৫ টাকা। ১০০টি বিক্রি করছি ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। দাম বাড়ায় আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ কম করে নিচ্ছেন।
বাজার করতে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সব পণ্যেরই দাম বেশি। নির্দিষ্ট আয়ের বড় অংশই চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের পেছনে। সস্তায় শাক-ডিম খাবার সুযোগও নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যদি কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি করে তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে