খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

সালাহউদ্দিনের ভারত থেকে ফিরতে বাধা নেই

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতে থেকে যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুপ্রবেশের মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে তার এ সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতিক শাখার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফেরার আবেদন মঞ্জুর করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আসাম থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য তাকে ট্রাভেল পাস দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মিশনকে জানানো হয়েছে।

সালাহউদ্দিন কবে দেশে ফিরতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।

পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গৌহাটিতে সহকারী হাইকমিশনকে জানায় বলে নিশ্চিত করেছেন রফিকুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হওয়া সালাহউদ্দিন আহমেদকে ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ উদ্ধার করে। তাকে সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।

ভারতে আটকের আগে বিএনপির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছিলেন সালাহউদ্দিন। দলের কর্মসূচি ও নেতা-কর্মীদের কাছে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা গণমাধ্যমে পাঠানোর কাজ করতেন তিনি।

ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। এ অবস্থায়ই বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তাকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!