সাতক্ষীরায় আকষ্মিক আগুণ লেগে পুড়ে গেছে যাত্রী শুন্য একটি বাস। শুক্রবার(৪ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া আমতলা মোড়ে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসটির হেলপার কবীর হোসেন জানান, রিজার্ভ হিসেবে বাগেরহাটে যাওয়ার জন্য বৃহষ্পতিবার রাতে বাসটি (সিলেট-জ-১১-০৭২৯) সাতক্ষীরা -খুলনা সড়কের কাটিয়া আমতলা মোড়ে রাখা হয়। বাসটির সামনে একটি ট্রাকও দাঁড়িয়েছিল।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাসটি পানি নিয়ে পরিষ্কার করছিলেন তিনি। দরজা খোলা রেখে বালতিতে করে পার্শ্ববর্তী ট্যাপে পানি আনতে যান । কিছুক্ষণ পর বাসটিতে আগুনের কুন্ডলী দেখে ছুটে আসেন। স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর আগেই বাসটির ভিতরের সিট, ইঞ্জিনসহ ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাসের হেলপার কবীর হোসেন রাতে সিটির উপরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিল। সকালে উঠে কয়েল নিভানোর কথা মনে ছিল না তার। সকালের দিকে হঠাৎ করে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া কয়েলটি সিটের উপর পড়ে যায়। পড়ে যাওয়া কয়েলের আগুন থেকে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে একটি পক্ষ এটিকে নাশকতা বলে প্রচার দিয়ে অবৈধভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
তবে বাসটির মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সদ্য বিদায়ী সদস্য সচিব কুশখালী গ্রামের গোলাম মোর্শেদ জানান, আগামি ৩ ডিসেম্বর জেলা বাস মালিক সমিতির নির্বাচন। এটাকে কেন্দ্র করে, অথবা বাসটির স্টাফদের রাখা মশার কয়েল অথবা সট সার্কিটের ফলে আগুন লাগতে পারে। তবে পুলিশ তদন্ত করে আগুণ লাগার মূল কারণ উদ্ধার করতে পারবে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, তদন্ত করে বাসে আগুন লাগার কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।