সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে, একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। লকডাউনের সপ্তম দিনে জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৩ জন। তারা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন।
এদিকে, করোনার উর্দ্ধমুখী গতি ঠেকাতে শুক্রবার (১১ জুন) সকাল থেকে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মাঠে কাজ করছেন জনপ্রতিনিধিরা। তার পরও নানা অজুহাতে লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। তবে, তাদের বাড়িতে রাখতে প্রশাসন আরো কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যেও হাসপাতাল গুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আজকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০ জন নতুন রোগীসহ ১৩৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেডের সংখ্যা ৮৭ থেকে বাড়াতে বাড়াতে ১৩৫ টি করলেও তাতে সংকুলান হচ্ছেনা। ফলে আগামিকাল আরো ১৫টি বেড বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খোদা।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ১১১ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমণের হার ৫২ দশমিক ৬০ শতাংশ। তিনি আরো জানান, জেলায় ১১ জুন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ২৫৬ জন।
অপরদিকে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩৬ জন রোগির মধ্যে ৯৯ জন করোনা উপসর্গ ও ৩৭ জন করোনা পজেটিভ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৮ জন রোগির মধ্যে ২২ জন করোনা পজেটিভ ও বাকী ৬ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে জেলায় মোট ৬৪৭ জন করোনা রোগি ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে ৫৭ জন দুটি সরকারী হাসপাতালে ও ৫৯০ জন বেসরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১ জুন পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন অন্ততঃ ২৪৪ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫১ জন। যদিও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ডাকা বিশেষ লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই