সাতক্ষীরায় দিনে দুপুরে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর নগদ এক লাখ টাকাসহ স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়েছে। সোমবার বেলা ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলালের ভাড়াটিয়ার ঘরে চুরি হয়।
বাড়ির মালিক ও জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আমি বসবাস করি। যার একপাশে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা ও দায়রা জর্জের বাসভবন, নতুন এনএসআই অফিস, অপরদিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আছে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস। এতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সত্ত্বেও কিভাবে দিনে দুপুরে আমার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়ার ঘরের দরজা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হলো সেটা ভাববার বিষয়। এ ঘটনায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন, উৎকন্ঠার মধ্যে বসবাস করছি। জেলার একজন সচেতন ও নাগরিক নেতা হিসাবে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলার দ্বায়িত্বে নিয়োজিতদের আরো সজাগ হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
বাড়ির ভাড়াটিয়া ও চেরিশ ফিড কোম্পানির জেলা মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, সোমবার সকালে যশোরে কোম্পানির কাজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। সেখানে সকাল ১১ টার দিকে স্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসি। এসে দেখি বাসার প্রধান দরজার ছিটকানি ভাঙ্গা এবং ঘরের ভিতরে থাকা আলমারিসহ অন্যান্য আসবাবপত্র এলোমেলো ফেলানো।
চোররা আমার ঘরে থাকা দু’টি আলমারি ও শোকেস ভেঙে নগদ এক লাখ টাকা ও সাড়ে ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। তারমধ্যে আছে নেকলেস, গলার চেইন, হাতের বালা, কানের দুলসহ অন্যান্য মূল্যবাদ জিনিসপত্র।
সাতক্ষীরার কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সে অনুযায়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলমকে অবহিত করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড