আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে সেটা সরে ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছিল রিজার্ভ ডে। তবে ওই দিনও বৃষ্টি হয়। এতে আবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ ভেস্তে যাওয়ার হুমকিতে পড়েছিল। একই কারণে গ্রুপ পর্বে তাদের দ্বৈরথ বাতিল হয়েছিল।
এখনও লঙ্কান রাজধানী কলম্বোতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখানে ২০২৩ আসরের ফাইনাল আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই তা ক্যান্ডিতে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তবে এখনও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দেয়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আপাতত বিষয়টি ভেবে দেখছেন এসিসির কর্তারা। আজকারের এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কলম্বোয় চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। এতে সরাসরি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে রোহিত শর্মার দল। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
টিকে রয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত সুপার ফোরে ২টি করে ম্যাচ খেলেছে তারা। ১ জয় ও ১ হারে ২টি করে পয়েন্ট অর্জন করেছে উভয় দল।
ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাক-লঙ্কার দ্বৈরথ অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছে। ওই মহারণে যারা জিতবে-তারাই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলার টিকিট পাবে।
বর্তমানে শক্তিমত্তায় লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে পাক ব্রিগেড। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিততে পারে বাবর আজমরা। এমনটি হলে ফাইনালি লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।
বৃষ্টির কারণে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লড়াই ফের ভেস্তে যাক কিংবা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত হোক- তা মোটেও চান না আয়োজকরা। ফলে চলমান এশিয়া কাপের ফাইনাল কলম্বো থেকে ক্যান্ডিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম