সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত খন্দকার রকিবুল ইসলামের লাশের ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ আছর ফুলতলা এম এম কলেজ মসজিদ চত্ত্বরে জানাযার নামাজ শেষে উপজেলা সরকারি গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার(১২ মে) রাত ৮টার দিকে মোটর সাইকেলযোগে ফুলতলায় ফেরার পথে অভয়নগরের দত্তগাতী প্রাইমারি স্কুলের কাছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রকিকুল নিহত এবং তাঁর স্ত্রী আহত হন। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত নিহত রকিবুলের বিরুদ্ধে ফুলতলা ও অভয়নগর থানায় হত্যা ও অস্ত্রসহ ৫টি মামলা রয়েছে। ফুলতলার আলকা কলেজ পাড়ায় তার বাড়ি হলেও বিভিন্ন সময়ে অভয়নগরের দত্তগাতী, দামুখালী, ভবদহ ও কপালিয়া এলাকায় তার ছিল একচ্ছত্র আধিপাত্য। তবে আধিপাত্য বিস্তার ও জ্ঞাত বহির্ভূত কোন অর্থের লেনদেনকে কেন্দ্র করে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
চার ভাই-বোনের মধ্যে রকিবুল ছিল তৃতীয়। এবারে ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আলকা চরপুকুর এলাকার আনোয়ার শেখের কন্যা পেয়ারী বেগম ওরফে বর্ষাকে মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিয়ে করেন। যদি এটি ছিল পেয়ারী বেগমের দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানাযার নামাজে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাউসুল আযম হাদী, জেলা বিএনপির সদস্য হাসনাত রেজভী মার্শাল, বণিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি এস রবিন বসু, সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান টিটো, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক ফরাজি, সাইদ আলম মোড়ল, এ কে মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম মোল্যা, মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিটু, আনোয়ার হোসেন বাবু, তারেক হাসান নাইস, মান্নান মহলদার, আলমগীর খান, আনোয়ার হোসেন মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই