খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

শ্যামনগরে নাম বাদ দেয়ার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক অন্যায় ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার ব্রুশাসন গ্রামের (অস্থায়ী গ্রাম-চিংড়াখালী) মৃত বক্স মলি­কের ছলে মোঃ ছুন্নত আলী মলি­ক এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-ম-১১৬৮২৩, গেজেট নং-১৫৬৩, লাল বার্তা নং-০৪০৪০৪০১৩৬ এবং ভারতীয় পরিচয়পত্র নং-১২৪। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে জন্মভূমিকে রক্ষা করতে নিজের জীবন বাজি রেখে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতের পিফা ক্যাম্পে ১৭ দিন ধরে থ্রী নট থ্রী রাইফেলের ট্রেনিং শেষ করি। সেখান থেকে ভারতের টাকিতে মেজর জলিল, ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা এবং মাজৎহফুজ আলম বেগের সান্নিধ্য লাভকরি। ওই সময় সাতক্ষীরার সৈয়দ কামল বক্ত সাকি, ইস্যুমিয়া বচি সাহেব, শ্যামনগরের অধ্যক্ষ আব্দুল হক, চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, সাবেক এমপি ফজুলল হক, সাতক্ষীরার কাশেমপুরের সাকাত আলী. খুলনার মোস্তফা, ক্যাম্প কমান্ডার এম,সি,এ,এম,এ বারী একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং নিয়েছি। আমি ২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে আসছি।

ছুন্নত আলী মলি­ক আরও বলেন, আমি গত ৭ ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে যাচাই বাছাই কমিটির সামেন হাজির হই। কমিটরি সদস্য ছিলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন, ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, এমপি’র প্রতিনিধি মুজিব বাহিনীর সদস্য মুজিবর রহমান, শ্যামনগর ইউএনও আ,ন,ম আবুজার গিফারী ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা সহিদুর রহামন। যুদ্ধের সময় আমার সহপাঠি বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজদেবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মাজেদ সরদার একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কার গাজী, আস্তাখালী গ্রামের গোলাম রহমান সরদার কমিটির সদস্যদের সামনে আমারে পক্ষে স্বাক্ষী দেয় যে, আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু যাচাই বাছাই কমিটির সদস্যরা আমার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাগজপত্র, প্রমাণ পত্র কিছুই না দেখে এবং স্বাক্ষীদের কথা না শুনে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্যামনগর থানার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন এর সাথে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ থাকায় পরিকল্পিতভাবে আমাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। ইতিপূর্বে টাকার বিনিময় অবৈধ পন্থায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের জামায়াতের এমপি গাজী নজরুলসহ একাধিক ভূয়া ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভুক্ত করলে আমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দেবীরঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই। সেই আক্রশে থানার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল যাচাই বাছাই কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে অবৈধ যোগসাজসে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আমি এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি সঠিকভাবে যাচাই বাছাই পূর্বক মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!