সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামে সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টার কাম প্রাইমারী স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার, মহাসিন আলম ও নিহতের পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা শ্যামনগরের রমজানগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পদদলিত করে। একই সাথে তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে দুই জনকে হত্যা করে। এসময় গুরুতর আহত করে আরো অনেককে।
বক্তারা অভিযোগ করে কলেন, র্যাব সদস্যরাএই হত্যা মামলার কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও পুলিশ এখনো কোন আসামি কে আটক করতে পারেনি। পুলিশ নাকি তাদের খুঁজে পাচ্ছে না সেকারণে বাকিরা এখনো রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। অথচ জোড়া খুনের মামলার আসামিরা বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে জোড়া খুনের মামলার সকল আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দ্রুত বিচারকার্য পরিচালনা শেষে দোষীদের সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বক্তারা দোষীদের ফাঁসির দাবী জানান।
প্রসঙ্গত, ফ্যান মেরামতের মত একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ জুলাই) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারীর সমর্থক ও বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও ২৫ জন আহাত হয়। এঘটনায় শনিবার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল বারী বাদী হয়ে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব এই হত্যা মামলার ৭ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি তিনজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই
