খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  প্রতিযোগিতামূলক করতে প্রতীক ছাড়া স্থানীয় নির্বাচন করছে আ’লীগ, অন্য দল প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে যেতে পারে : ওবায়দুল কাদের

শীতে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরায় জনজীবন, তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় হঠাৎ বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সাতক্ষীরায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ায় জনদূর্ভোগে পড়েছেন কর্মব্যস্ত মানুষ।

এদিকে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হতে না পারায় বেকায়দায় পড়েছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কেউ কেউ আবার কনকনে শীত উপেক্ষা করে আয়-রোজগারের জন্য মাঠে কৃষি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তীব্র শীতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ গুলো। গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পরছেন না। দুপুরের দিকে কিছুক্ষনের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও বিকাল নাগাদ আর সূর্যেও দেখা মেলেনি।

অপরদিকে, তীব্র শীতে জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে শীত জনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা। জেলায় শীত বাড়লেও বন্ধ হয়নি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে অনেক শিশু।

শহরের মুনজিতপুর এলাকার গৃহবধূ নাজমুন নাহার বলেন, চলতি শীত মৌসুমে আজ সোমবার শীতের তীব্রতা সব চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। শীতের ভয়ে বড়রা অনেকেই ঘরের বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। এই অবস্থায়ও বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। শীতের কারণে দেশের অনেক জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তীব্র শীতেও সাতক্ষীরায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি। এমনিতেই প্রচন্ড শীতে ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া সহ শীতজনতি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের সাথে কনকনে শীতের মধ্যে সকালে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া মানে তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করেন।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্র আরও কমেছে। সোমবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমান ছিল ৯৪ শতাংশ।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!