শীতে জবুথবু যশোরাঞ্চলের মানুষ। তীব্র এ শীতে মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়েছে শিশির। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। যা সকাল ৯টায় ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ওই জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে যশোরে এদিন ভোর রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বাতাসের কারণে অনুভূত হয়েছে আরো বেশি। যশোরের উপর দিয়ে ঘন্টায় ৭ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের ১১টি জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাবে যশোরের উপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আগামী দু’দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।
গত দু’দিন যাবৎ যশোরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল ও গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গত কয়েকদিনের লাগাতার ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাসের কারণে ক্ষেতের বীজতলার ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
শ্রমজীবীরা বলেছেন, শীতের সকালে গত দু’দিন ধরে তারা কাজ পাচ্ছেন না। কনকনে ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। ধারদেনা করে চলছে তাদের পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা।
এছাড়া হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত দু’দিনে যশোর জেনারেল হাসপাতালে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।
ডাক্তাররা বলেছেন, তীব্র এ শীতে সাবধানতার কোন বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে হলে ঠান্ডায় ঘোরাফেরা করা যাবে না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়ও নিরাপদে থাকতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম