খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : আপিল বিভাগে ফের শুনানি ২৬ মে
  তিন দফা দাবিতে আজও রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
  এনবিআর বিলুপ্ত করে দু’টি বিভাগ করার প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি চলছে

শিশু গৃহ পরিচারিকার সারা শরীরে নির্যাতনের ক্ষত চিহৃ, স্বামী-স্ত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

শারীরিকভাবে চরম নির্যাতনের শিকার এক শিশু গৃহ পরিচারিকাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির নাম ফিহা মনি। তার বয়স ১৩ বছর। তার সারা শরীরে নির্যাতনের ক্ষত চিহৃ রয়েছে। অসহায় শিশুটির বাড়ি দিনাজপুরে। এ ঘটনায় নির্যাতনকারী স্বামী স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বাবার মৃত্যুর পর মা নতুন সংসার পেতেছেন। যে কারণে শিশুটিকে হতে হয়েছিল গৃহ পরিচারিকা। আর এ কাজে গিয়ে শিশুর জীবনে ঘটেছে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা। যা সবাইকে নাড়া দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টায় আহত শিশুকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গৃহকর্তা ও গৃহিনী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ফিহা মনি (১৩) দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার হোসেনপুরের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আবুল হোসেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুল আহত এ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা যায়, শিশু ফিহা মনি যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ব্যাংকপাড়ার মাতৃছায়া নামক একটি বাসার ভাড়াটিয়ার গৃহ পরিচারিকা। ভাড়াটিয়া অংকুর ও জিন্নাত স্বামী-স্ত্রী। তারা দিনাজপুরের বাসিন্দা। দিনাজপুর থেকে গত কোরবানির ঈদের পর এই শিশুকে তারা তাদের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসেন। বিভিন্ন কারণে-অকারণে তারা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে আহত শিশু জানায়। বিষয়টি থানা পুলিশ খবর পেয়ে আহত শিশুকে ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করেন। এসময় তার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর ছিল। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, অংকুর ও জিন্নাত কারনে অকারনে শিশুটিকে মারপিট করে। শিশুটিকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে তারা দাবি করেন।

এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া অংকুর ও জিন্নাতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। শিশু নির্যাতনে দোষী গৃহকর্তা ও গৃহিনী স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশের মানবিক কাজের প্রশংসা করছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। পুলিশ তাকে উদ্ধার না করলে কী হতো শিশুটির কপালে, তা জানা নেই কারোর।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!