খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ

শিমুল হত্যা মামলার দুই আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি, ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

মসজিদের কমিটি গঠন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুড়ামনকাটির যুবলীগ লীগ নেতা জিল্লুর রহমান শিমুলকে হত্যা করা হয়েছে। আটকের পর শনিবার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আটক দুই আসামি বুলবুল হোসেন ও নাঈম হোসেন এ কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এরআগে শুক্রবার রাতে হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো, একই এলাকার এনামুল কবির, সোহরাব হোসেন, চঞ্চল এবং সাজিয়ালী পূর্বপাড়ার হযরত আলী।

পিপিবিআই জানায়, আসামি বুলবুলের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন আগে শিমুলের অবৈধ সম্পর্ক হয়। সেখান থেকেই তাদের মাঝে বিরোধ শুরু হয়। এছাড়া বিগত জাতীয় নির্বাচনে দুটি গ্রুপ দুই পক্ষের নির্বাচনের প্রচারণায় নামেন। এসব নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়তেই থাকে। সম্প্রতি মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে তা প্রকট রুপ ধারন করে। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বুলবুল ও নাইম শিমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। রাতেই ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি জমান বুলবুল ও নাইম। এছাড়া আটকের পর আসামিরা আরও জানিয়েছে, নিহত শিমুল আটকৃতদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলো। সেই জন্য তারা আগেই শিমুলকে হত্যা করে আশঙ্কামুক্ত হন।

নিহতের স্ত্রী মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী শিমুল হোসেন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৯ মার্চ তার স্বামী বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর দাড়িয়ে ছিলেন। সে সময় আসামি নাঈম হোসেন মোটরসাইকেলের হেড লাইট বন্ধ করে এসে তার স্বামীর শরীরের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে তিনি সামান্য আহত হন। পরে এ বিষয়ে তর্ক হলে নাঈম তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এছাড়া, গত ২১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে তার স্বামী গোবিলা বাজারে যান। সেখানে আসামি বুলবুলকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করায় বুলবুলে সাথে তার বিতর্ক হয়। বুলবুল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওইদিন রাতে তার স্বামী গ্রামের জমির আলীর বাইসাইকেলের পেছনে বসে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে পৌছালে বুলবুল প্রথমে একটি গাছি দা দিয়ে তার স্বামীকে কোপ মারে। পরে নাঈমসহ অন্যান্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!