খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

শিক্ষককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

গেজেট ডেস্ক

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক শিক্ষককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই শিক্ষকের নাম মোনারুল ইসলাম (৩৫)। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মোনারুল ওই উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত প্রতিভা কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন মোনারুল ইসলাম। ‍বিবাহিত থাকার পরও একপর্যায়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও তাকে উত্যক্ত করছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ ডিসেম্বর ইসলামী জালসা উপলক্ষে নওদাপাড় গ্রামে বাবার বাড়িতে আসে ওই ছাত্রী। কিন্তু ওই দিন রাতে সেখানে গিয়েও তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। জানতে পেরে মোনারুলকে আটক করা হয়। এরপর ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির উঠানে থাকা গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটায় ওই ছাত্রীর স্বজনরা। এতে মোনারুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।

শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে মোনারুলকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমকে) এবং পরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত মোনারুলের চাচা সিজাব উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মোনারুলের সঙ্গে কোনো ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।’

অভিযুক্ত পরিবারের নিকট আত্মীয় রুহুল আমিন বলেন, ‘কে বা কারা তাকে মেলেছে, আমরা তা জানি না।’ এদিকে শিক্ষকের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত ছাত্রীর পরিবাবের সবাই গা-ঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঢাকায় নিহতের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর লাশ শেরপুরে আসবে। তখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’ অভিযোগ ও তদন্তে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!