খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

শার্শায় শ্বশুর হত্যা মামলায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের শার্শা উপজেলায় শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগে জামাইসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের জামাই তুহিন সরদার, তার বাবা কুদ্দুস সরদার, ভাই রুহিত সরদার, একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে জামির হোসেন, মৃত সোনাই সরদারের ছেলে শাহাবুদ্দীন সরদার ও তার ভাই আলাল সরদার এবং শুকুর আলীর ছেলে ফারুক হোসেন।

নিহত আবু মুসা বিশ্বাস একই গ্রামের মোনছের বিশ্বাসের ছেলে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে শার্শা থানার এসআই আকরাম হোসেন বৃহস্পতিবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে ফারুক হোসেনকে পলাতক ও অন্যদেরকে আটক দেখানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে নিহত আবু মুসার মেয়ে সোহানাকে জোর করে উঠিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার তুহিন সরদার। পরে তাদের সংসারে আরিয়ান নামে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর তুহিনের সাথে ছাড়াছাড়ি হয় সোহানার। এরপর থেকে আরিয়ান নানা বাড়িতে মায়ের সাথে থাকতো। এক সময় তুহিন এসে আরিয়ানকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে নানা মুসা আরিয়ানকে আনতে তুহিনদের বাড়িতে যান। তখন আসামিরা জানায়, আরিয়ানকে আর দেবে না। এক পর্যায়ে গালিগালাজ করে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান মুসা। সর্বশেষ, গত বছরের ১২ অক্টোবর সকাল নয়টায় মুসা ফের আরিয়ানকে আনতে তুিহনদের বাড়িতে যান। তখন আসামিরা মুসার ওপর হামলা চালায়। এরমধ্যে আসামি তুহিন রামদা দিয়ে তার মাথায় দুটি কোপ দেন। অন্য আসামিরাও ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করে মুসাকে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম আসামিদের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর শার্শা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। ওই মামলাটি তদন্ত করে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!