খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

লোহাগড়ায় বাঙ্গির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফলন গতবারের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অল্প বীজে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরা বাঙ্গি উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছে।

উপজেলার কোলা, পারমল্লিকপুর, নোয়াপাড়া, কোলা, দিঘলিয়া এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে বাঙ্গি চাষ হয়ে আসছে। এ সব এলাকার কৃষকরা বাঙ্গি চাষ করে সচ্ছলতার মুখ দেখছে।

কথা হয় উপজেলার কোলা গ্রামের বাঙ্গি চাষি বিল্লাল হোসেইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক একর জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো। আমি নিজেই বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। প্রতিদিন ৫-৬ হাজার টাকার বাঙ্গি হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা প্রতিদিন ১ টন বাঙ্গি জমি থেকে সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে এই বাঙ্গি সংগ্রহ করে দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরে নিয়ে বিক্রি করছেন।

‘উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের বাঙ্গি চাষি মুরাদ হোসেন ও সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের এই বাঙ্গি উপজেলার লোহাগড়া বাজার, দিঘলিয়া বাজার, এড়েন্দা বাজার, শিয়রবর বাজার, মানিকগঞ্জ বাজার, লাহুড়িয়া বাজারে বিক্রি করার পরও আমাদের এই বাঙ্গি যশোর, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, মোল্যারহাটসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন আকারের বাঙ্গি পাওয়া যায়। আকার অনুযায়ী প্রতিটি বাঙ্গির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।’

বাজারে দুই রকমের বাঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে যার মধ্যে বেলে ও আঠালে জাতীয় বাঙ্গি। আঠালে বাঙ্গি খেতে মজা। আঠালে বাঙ্গি তরকারী হিসাবে খাওয়া যায় বলে এক ক্রেতা জানান।

বাঙ্গি চাষ সম্পর্কে মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক রাসেল মোল্যা জানান, সাধারণত মাঘ মাসে বাঙ্গির বীজ লাগানো হয়। এক একর জমিতে এক মন টিএসপি, এমপি ইউরিয়া সার দিতে হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বাঙ্গি খাওয়ার উপযুক্ত হয় বলে তিনি জানান।

লোহাগড়া বাজারের বাঙ্গি ব্যবসায়ী বোরহান, বিপ্লব, বলেন এক শত বাঙ্গি পাঁচ ছয় হাজার টাকায় কিনে ১০-১২ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এই বাঙ্গি একদিকে যেমন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তেমনই বেকার যুবকের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করেছে। তবে উপজেলায় বাঙ্গির কোনো আড়ত না থাকায় অবিক্রীত বাঙ্গি পচে যায় বলে একাধিক বিক্রেতা জানান।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বাঙ্গি চাষের উপযোগী বিধায় ফলন খুব ভালো হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!