কলম্বোয় দাপট দেখিয়েছেন তিন টাইগার পেসার। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের নিয়মিত সাজঘরে পাঠিয়েছেন তারা। ফেরার আগে মাঝারি-ছোট সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরাও। এতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার ফোর। টানা চার ম্যাচে টস জেতেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের তিন ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করলেও এদিন বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইনিংস শুরু করা শ্রীলঙ্কা শিবিরে শুরুতেই ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু রিভিউ নিয়ে লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা।
তবে দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে নিশাঙ্কার জুটি বড় হয়নি। ৩৪ রানে তাদের জুটি ভাঙেন পেসার হাসান মাহমুদ। করুনারত্নে ফিরে যান ১৮ রান করে। এরপর ৭৪ রানের জুটি দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।
শরিফুল ওই জুটিতে ধাক্কা দিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে দারুণ এক ইন সুইংয়ে লেগ বিফোর করেন তিনি। পরের ওভারে এসে ৫০ রান করা কুশলকে তুলে নেন বাঁ-হাতি দীর্ঘদেহি এই পেসার। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেন। শ্রীলঙ্কার রান তখন ১১৭।
দেড়শ’ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ তখন চালকের আসনে। চারিথা আশালঙ্কা ১০ রান করে তাসকিনের বলে এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৬ রান করে হাসানের বলে আউট হন।
ষষ্ঠ উইকেটে শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক সাদিরা সামারাবিক্রমা ও অধিনায়ক দাশুন শানাকা দারুণ এক জুটি গড়েন। তারা ৬০ রান যোগ করেন। ২৪ রান করা শানাকাকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন হাসান।
তবে অন্য প্রান্তে থাকা সামারাবিক্রমা ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শেষ বলে আউট হন। তার ৭২ বলে সাজানো ইনিংসটি ছিল আটটি চার ও দুটি ছক্কায়।
বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার তাসকিন ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। পেসার হাসান ৯ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। শরিফুল ৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে সেরা দুই উইকেট দখল করেন। শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটের মধ্যে সাতটিই নিয়েছেন পেসাররা।
খুলনা গেজেট/ টিএ