পুরো ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বেশ। বড় লক্ষ্য তাড়ার লড়াইয়ে কখনো বরিশাল এগিয়েছে কখনো কুমিল্লা। তবে চাপ ধরে রেখে শেষ হাসি হেসেছে ফরচুন বরিশাল। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বরিশাল। বড় লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪২ রান আসে উদ্বোধনী জুটি থেকে। ১১ বলে ১৮ রান করে রিজওয়ান ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে।
ভালো শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লিটন। ৩২ রান করে আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে। তবে আশা জাগিয়েছিল মিডল অর্ডার। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ১৫ বলে ২৮ রান লড়াইয়ে ফেরত আনে তার দলকে। কিন্তু সময়মতো ইমরুলকে সাজঘরে ফেরান চতুরঙ্গ ডি সিলভা।
শেষদিকে খুশদিল শাহ এবং মোসাদ্দেক হোসেনের ৫৪ রানের জুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও কঠিন করে তোলে। শেষ ৯ বলে ২৪ দরকার ছিল কুমিল্লার। দুইজনই ছিলেন সেট ব্যাটার। এমন সময় মোসাদ্দেককে বোল্ড করেন করিম জানাত। এরপর আর লড়াইয়ে থাকতে পারেনি কুমিল্লা। ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে বরিশাল সংগ্রহ করে ১৭৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৮১ রান করেন অধিনায়ক সাকিব। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন তানভীর ইসলাম।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দর্শকদের হতাশ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরে যান মাত্র ৬ রান করে। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও থিতু হয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে ফিরেছেন ২০ রান করে। তিনে নামা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ফিরেছেন ২১ রান করে। পরবর্তীতে দলের হার ধরেন অধিনায়ক সাকিব।
ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে। তবে ব্যক্তিগত ২৭ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম। তখনো ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন সাকিব। একাই লড়ছিলেন কুমিল্লার বোলারদের বিপক্ষে। এরপর অবশ্য ইফতিখার আহমেদ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দ্রুত বিদায়ে বড় রান সংগ্রহে বাঁধা পায় বরিশাল।
শেষ দিকে সাকিবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে বোর্ডে রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৭। এছাড়া দলের হয়ে করিম জানাত করেন ৫ বলে ১০ রান।
খুলনা গেজেট/এমএম