বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতেই বাজেট করেছে সরকার। কারণ, রাগব-বোয়ালদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত। শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের কল্যাণে নয়, প্রতি মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এ সময় এক ব্যক্তির অবদান ছাড়া অন্য কারও অবদান আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা নাকি মাছের টোপ। মাছ ধরার জন্য যেমন টোপ দেয়া হয়, তারা দুর্নীতিবাজদের ধরার জন্য টোপ দিচ্ছে, এটা হাস্যকর। আপনারা নিজেরাই তো এর সঙ্গে জড়িত। বাজেট দেখলেই বুঝতে পারবেন রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার আরেকটা ব্যবস্থা করেছে।
দল মত নির্বিশেষে সবাইকে একসাথে হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা, যে স্বপ্ন ছিল সেগুলোকে বাস্তবায়িত করতে, আমরা সবাই আবার এক জোট হয়ে লড়াই শুরু করি। যে লড়াইয়ে অবশ্যই আমরা তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হবো।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খানের স্মৃতি ধারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি স্বাধীনতা, সংগ্রামে চালিকা শক্তি হিসেবে নিজের জায়গা, দল থেকে কাজ করেছেন। তার অবদান অস্বীকার করা যাবে না, তার অবদান যারা অস্বীকার করতে চায় তারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়।
স্বাধীনতার ইতিহাসকে একটি দল বিকৃত করছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, তারা এক ব্যক্তি ছাড়া আর কারো কথা স্বীকার করতে চান না। যারা স্বাধীনতার সংগ্রামে কাজ করেছে, তারা সব সময় অবহেলায় অস্বীকার করে। যাদেরকে তারা অস্বীকার করে না, তাদেরকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করে।
সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ থেকে কোনো শোকবার্তা দেয়া হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কত বড় অকৃতজ্ঞ হলে একটি দল তার মূল চালিকার মধ্যে ছিলেন, তাকে পর্যন্ত স্মরণ করেনি। শুধু সিরাজুল আলম খানই নন, একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না। যারা প্রত্যেককে স্বাধীনতার সংগ্রামে কাজ করেছে আজকের এই ৫৩ বছরে তাদের অস্বীকার করাটা অকৃতজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়।
আজকে সবাই দেশের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে আমরা একসাথে কাজ করছি। বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর সঙ্কটে ভূপাতিত হয়েছে। এ দেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এমন একটা গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা বসে আছে, যারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।
এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে দূরে ছিটকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়ন দূরে থাক, তারা মানুষকে নিগৃহ করছে, নির্যাতন করছে। প্রতি মুহূর্তে তারা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
খুলনা গেজেট/এএজে