খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

রঙিন ফুলে সুশোভিত খুবি ক্যাম্পাস

মেহেদী হাসান বাপ্পী

ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক, আর মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। ফুলের প্রতি সবারই একটা দুর্বলতা আছে। যে মানুষের মন পাথরের চেয়েও কঠিন তাকেও ফুলের সৌন্দর্য আকর্ষিত করে।

প্রকৃতিতে চলছে শীতকাল, বসন্ত আসতে এখনো একটু দেরি। শীতের রুক্ষতা যাদের মনে জেকে বসেছে তাদের জন্য বাহারি ফুলের ডালি সাজিয়ে বসেছে খুবি (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বামে তাকালে আপনিও ভুলবশত ভাবতে পারেন যে, ফুলের বাগানে ঢুকে পড়েছেন।

বিশ্বাবদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, কালজয়ী মুজিব চত্বরে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। তার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, আকাশী সাদা স্নোবল, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগ ঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা ও পাতাবাহার অন্যতম। নানা রঙের ফুলের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে সব স্থানে। ফুলের সৌন্দর্য্যে যেনো র্স্বীয় রূপ ধারণ করেছে খুবি ক্যাম্পাস।

প্রকৃতি যেখানে সেঁজেছে অপরূপ সৌন্দর্যে সেখানে তো দর্শনার্থীদের ভিড় জমবেই। তাইতো ইট পাথর ও ধূলিকণার আস্তরণ থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচতে প্রতিদিন প্রকৃতির সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যের সুরা পান করতে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে সব বয়সের মানুষ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা। প্রকৃতির টানে ব্যস্ত সময়ে একটু অবসরের প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসছেন অনেকেই। সুন্দর মুহুর্ত ধরে রাখতে কেউ কেউ ফুলের সাথে নিজেদেরকেও ফ্রেম বন্দী করছেন এবং কেউবা সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছে।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহজাহান হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে দিনের অধিকাংশ সময় ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ডুব দিয়ে সময় কেটে যেতো। এখন আর তেমন সুযোগ না থাকলেও দিনে একবার হলেও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে আসছেন।

সপরিবারে ঘুরতে আসা ফিরোজ আহমেদ বলেন, “ছুটির দিন গুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে আসি এখানে। পরিবেশটা খুবই সুন্দর, ফুলের গন্ধে মন ভরে যায়। তাছাড়া ক্যাম্পাসে নিরাপদে ঘুরতেও পারি। আমার মেয়ে দুটোও ফুল ভালবাসে খুব। কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিতে চাই, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।”

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!