যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটির মা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মেহেদী হাসানের স্ত্রী আসমা খাতুন জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওইদিনই তাকে যশোর শিশু হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার আগ মুহুর্তে নানী তাসলিমার কোলে বাঁচ্চাটি রেখে তিনি বাথরুমে যান। ফিরে এসে শোনেন তার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। শিশুর নানী তাসলিমা জানান, এক মহিলা তাদের রুমে এসে ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করেন। পরে বাচ্চাটি কোলে নেন। এসময় তিনি হাসপাতালের বিছানা গোছাচ্ছিলেন। এরমধ্যে বাচ্চাটা নিয়ে চলে যান ওই নারী। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাক্তার সৈয়দ নুর ই হামিম জানান, ত্বতীয়তলার ৩০৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক্সটা-১ নম্বর বেডে ছিলো ওই শিশুটি। রবিবার তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। হঠাৎ তিনি জানতে পারেন বাচ্চাটি চুরি হয়েছে। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিশু চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, পিত্তি রঙের বোরকা পরা ও লাল রঙের ওড়না ও মুখে মাস্ক পরা এক নারী দুপুর ১২ টা ১২ মিনিটে হাসপাতালের ত্বতীয়তলা থেকে বাচ্চাটি কোলে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাচ্চাটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হবার পর হাসপাতালে অন্য রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক আটকে প্রত্যেককে তল্লাশি ও সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ এজাজ বলেন, তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযানে নেমেছেন। অতিদ্রুত বাচ্চাটি উদ্ধার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খুলনা গেজেট/এএ