যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা ক্রয় দরপত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঠিকাদাররা। তাদের অভিযোগ বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে এ কাজ দেয়া হয়েছে। এতে ৫ কোটি টাকা সরকারের অপচয় হবে বলে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করেছেন।
জানা গেছে, যশোর শিক্ষাবোর্ডে ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ৯০ লাখ খাতা ক্রয় দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত মার্চ মাসে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। ঢাকার মাস্টার সিমেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে মঙ্গলবার এ খাতা সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
যশোরের ঠিকাদার কামাল উদ্দিন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে পরীক্ষার সাইজের একপিছ খাতা যশোরের বাজারে দাম ৫ টাকা হলেও কার্যাদেশে ১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এ হিসেবে ৯০ লাখ খাতার মূল্য যশোরের বাজারে প্রায় ৫ কোটি টাকা হলেও সমঝোতার মাধ্যমে ঠিকাদার ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্চা দিচ্ছেন ও লাভবান হচ্ছেন শিক্ষাবোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদার।
শিক্ষাবোর্ডের দরপত্র সংক্রান্ত মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাস বলেন, ই-জিপি দরপত্রে ঘাপলার কোন সুযোগ নেই। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেয়া হয়েছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। এ কাজে শিক্ষাবোর্ডের কারো সাথে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হবীবের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড