যশোরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ে একটি ক্লাবের মধ্যে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ইয়াসিন ওরফে হুজুর ইয়াসিন (৩৩) নামে এক যুবলীগনেতা। তিনি ওই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার উপর এ হামলা চালানো হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ৮ টায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়ার আকবরের মোড়ের ব্রাদার্স ক্লাবের মধ্যে বসে ছিলেন ইয়াসিন। এসময় স্থানীয় একটি চক্রের সাথে ইয়াসিনের প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এরপরেই তার উপর হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এসময় ইয়াসিনকে এলোপাতাপাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তার চিৎকার আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি মারা যান।
এ সংবাদ পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই বিমান কুমার, এআই শংকর কুমার, এই মাহিদুল ইসলাম, এসআই আল মিরাজ ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে যান। তারা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
এসময় পুলিশ অফিসাররা জানান, এ ঘটনায় স্থানীয় দুর্বৃত্তরা জড়িত বলে তথ্য মিলেছে। তাদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ফিরে তারা বেজপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হুজুর ইয়াসিন সক্রিয়ভাবে যুবলীগ করেননি কখনও। দৃশ্যত কোনো পদও ছিল না। তবে কাজীপাড়ার এক যুবলীগ নেতার সাথে তার সখ্যতা ছিল। এ কারণে তাকে যুবলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিংয়ে দেখা যেত। এছাড়া শংকরপুর এলাকায় তার নানা অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক ছিল। তার নামে থানায় মামলায় রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য নিয়ে অপর একটি চক্রের সাথে তার দ্বন্দ্ব ও দুরত্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্বের জের হিসেবে তিনি হামলার শিকার ও খুন হয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযানে নেমেছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত এবং কেন এ হত্যাকান্ড ঘটেছে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরিবারের লোকজন ও নিহতের কাছের লোকজনের সাথে কথাও বলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুতই আটক করে আইনে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।