যশোর পৌরসভা নির্বাচনে ৩২ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশ। বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী সরদার হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৪৭ ভোট।
আর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বিএনপির প্রার্থী মারুফুল ইসলামের ধানের শীষ প্রতীকে পড়েছে সাত হাজার ৩০২টি ভোট। যা শহরবাসীর কাছে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে সাইদুর রহমান রিপন পাঁচ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিল পেয়েছেন এক হাজার ৮৪৬ ভোট।
দুই নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রাশেদ আব্বাস রাজ দুই হাজার ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শেখ সালাউদ্দিন পেয়েছেন এক হাজার ১৪৮ ভোট।
তিন নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোকসিমুল বারী অপু এক হাজার ৬৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাব্বির মালিক পেয়েছেন ৯৫৯ ভোট।
চার নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জাহিদ হোসেন মিলন তিন হাজার ৫৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন দুই হাজার ৪৬৫ ভোট।
পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রাজিবুল আলম দুই হাজার ৭৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাফিজুর রহমান পেয়েছেন এক হাজার ৭৩৬ ভোট।
ছয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আলমগীর কবীর সুমন দুই হাজার ৪৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজাহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন এক হাজার ৫২৭ ভোট।
সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে শাহেদ হোসেন নয়ন এক হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জুলফিকার আলী পেয়েছেন এক হাজার ৫৪৬ ভোট।
আট নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু দুই হাজার ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সন্তোষ দত্ত পেয়েছেন এক হাজার ১৫১ ভোট।
নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অ্যাড. আসাদুজ্জামান দুই হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজিজুল ইসলাম পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৬ ভোট।
এছাড়া সংরক্ষিত এক, দুই, তিন নম্বর ওয়ার্ডে আইরিন পারভীন ডেইজি চার হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আয়েশা সিদ্দিকা পেয়েছেন দুই হাজার ৫৪১ ভোট।
সংরক্ষিত চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডে নাসিমা আক্তার জলি ১৪ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাছিমা সুলতানা পেয়েছেন তিন হাজার ১৮৫ ভোট।
সংরক্ষিত সাত, আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি দশ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সালমা আক্তার বাণী পেয়েছেন সাত হাজার ৯০৭ ভোট।
ব্রিটিশ ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন যশোর পৌরসভায় এবার প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পৌরসভা এলাকার ৫৫টি কেন্দ্রের ৪৭৯টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। মেয়র পদে তিনজন, কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। তবে প্রচারণা শুরুর পরই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি তাদের প্রার্থী সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলামকে ভোট থেকে সরিয়ে নেয়। এ পৌরসভার মোট এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৯২ জন ভোটার রয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭২ হাজার ৪৫ জন, নারী ভোটার ৭৪ হাজার ৫৪৯ জন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবারের ভোটে ৩৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবীর এ ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেএম