এক সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরে বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের বাসায় চুরির সাথে জড়িত পাঁচ ভাইসহ চোরচক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক এবং চুরি যাওয়া প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি মৌচাক রোড ডি-ব্লকের সামছুল হক ওরফে শুকুর আলীর ছেলে নয়ন ওরফে আকাশ ওরফে আলামিন (২৮), আলামিনের অন্য চার ভাই জাহিদ (২৪), রিয়াদুল শেখ রিয়াদ (২১), সাকিব ইসলাম (২০) ও শ্রাবন ওরফে সাগর (১৬)। যশোর সদরের চাঁচড়া মেডিকেল কলেজ এলাকার রিয়াজ (২৩), নারায়নগঞ্জ মদনপুরের গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (৩৫) ও নারায়নগঞ্জ সোনারগাও এর ললাটি কাঁচপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০)।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে শহরের পুরাতন কসবা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসাদুজ্জামানের ৬ তলা ভবনের বাসার ৫ম তলার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের আলমারি থেকে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ তিন লাখ ত্রিশ হাজার টাকা চুরি হয়। বাসার সিসিটিভি ফুটেজে দুই চোরকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ।
ডিবি পুলিশের এসআই শাহ কামাল আকন্দ এবং এসআই সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের পর বুধবার রাতে সদর উপজেলার পদুয়ারবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ওই চক্রের অবস্থান জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তালাকাটা চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। জেলা ডিবি সিসিটিভি পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল ও এসআই মফিজুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম বৃহস্পতিবার রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা চোরচক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে চোরাই ছয় ভরি ১৪ আনা দুই রতি পাঁচ পয়েন্ট স্বর্নালংকার এবং ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও পিসিপিআর পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা যশোর, ঢাকা, খুলনা ও চট্্রগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে এমন তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, ঘটনার দিন তারা বাদীর ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ দেখে বাড়িটিকে টার্গেট করে। পরে দিনের বেলায় বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে আলমারি ভেঙ্গে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ তিন লাখ ত্রিশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চোরাই ছয় ভরি ১৪ আনা দুই রতি পাঁচ পয়েন্ট স্বর্নালংকার এবং ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি