যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ঢিলেঢালাভাবে চলছে সংস্কারের কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গাগেট, চেঙ্গুটিয়া নামক স্থানে সড়কের কিছু অংশ কেটে আবার কিছু অংশ খুঁড়ে পুনরায় তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনষ্ট্রাকশন’। ওই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সুপারভাইজার জানান, তিনি তেমন কিছু জানেন না, তবে ৭ এপ্রিল থেকে সড়কের যে অংশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে এবং ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেই অংশের কিছু জায়গা খুঁড়ে পুনরায় মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজের মান কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই বলতে চাননি। তাছাড়া সড়কের যে অংশ ফুলে গিয়ে রাস্তার মধ্যে উঁচু উঁচু ঢিবি তৈরী করেছে সেই অংশের মাথা কেটে সমান করে রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে তার ওপর থেকে বিটুমিন, কেমিক্যালসহ প্রয়োজনীয় উপাদান কাটা পড়ে শুধুমাত্র খোয়া থেকে যাচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে এবং তার ওপর দিয়ে যানবহনের চাকা উঠলেই ছড়িয়ে যাবে। রাস্তার আরো খারাপ হয়ে যাবে। কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্নের কোন জবাব দিতেও রাজি হয়নি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত সুপার ভাইজারা।
উল্লেখ্য, নওয়াপাড়া-যশোর রাস্তার মূলকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। ওভারলোডিং এর কারণে রাস্তার এরকম উঁচু-নিচু ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গাগেট এলাকার বাসিন্দা নিজাম সরদার বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগরের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রূপদিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনষ্ট্রাকশন’। কাজ শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া একজায়গায় জড়ো হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু উঁচু ঢিবির সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যে কারণে আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় ।এই রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটে দুঘর্টনা ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মকিত জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক। কারণ এ সড়ক দিয়ে শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে সারা দেশে সার-কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। যে কারণে এ সড়কে ভারী যানবহনের চলাচল অনেক বেশি। সেই হিসেব মাথায় রেখে এই সড়কটিকে পুন:নির্মাণ ছাড়া সড়কের স্থায়িত্ব আসবে না। তাদের দাবি সড়কের বিভিন্ন স্থানে মেরামত না করে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোরের নির্বাহী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জনদুর্ভোগ কমাতে ঈদের আগে এই মেরামতের এর কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ আছে শুধু সেই জায়গাগুলো মেরামত করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম