যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পল্লীতে হিজড়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় রমজান আলী বাবু (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাবুর বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামে।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে যশোর শহরতলির মুড়ুলি মোড় থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাবুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম। এরপর সন্ধ্যায় বাবুকে নিয়ে তার মণিরামপুরের কামালপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার হয়।
ডিবি এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার বাবু পুলিশকে জানিয়েছে হিজড়া পলির সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে পলির মণিরামপুরের মাছনা মোড়লপাড়ার বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল। পলি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে পলির ফোন পেয়ে তার বাড়িতে যায় বাবু। এরপর তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।
এরপর পলি ঘুমিয়ে পড়লে বাবু চুরির উদ্দেশ্যে ওই ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে পলির ঘুম ভেঙ্গে গেলে বুঝতে পেরে বাবুকে জড়িয়ে ধরে পুলিশে দিতে চেয়েছিলেন। তখন ছাড়া পেতে বাবু নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে পলিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বাবু জানায়, পলির ঘরে চুরির পরিকল্পনা ছিল তার দীর্ঘদিনের। কিন্তু পলিকে হত্যার কোন পরিকল্পনা তার ছিল না। ঘটনাক্রমে নিজে বাঁচতে গিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, পলিকে হত্যা করে চুরির মালামাল নিয়ে পালাতে যশোর শহরে আসে বাবু। পলির মোবাইলে পাওয়া বাবুর নম্বরের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ঘুঘুদা গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর সন্তান পলি। বেশ কয়েক বছর ধরে বাবার ভিটা ছেড়ে পলি একই ইউনিয়নের মাছনা মোড়লপাড়ায় পাকা বাড়ি করে একাই বসবাস করছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে পলির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি