যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা মুন্সিপাড়ায় হত্যা মামলার আসামি বাচ্চু গাজী (৩৮) নামে এক লেদ মিস্ত্রি খুন হয়েছেন। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত বাচ্চু গাজী যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া হামিদপুর গ্রামের রবিউল গাজীর ছেলে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে মুন্সিপাড়ার একটি ধান ক্ষেত থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি হত্যার শিকার হন বলে পুলিশ ধারণা করেছে। কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম, সিআইডি ও পিবিআই’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, তার স্বামীর নামে মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক। মঙ্গলবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বাচ্চু গাজী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে যাননি। রাতে তাকে পরিচিত সব স্থানে খোঁজ করা হয়। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর বুধবার সকালে লোকমারফত তার হত্যার খবর পাই।
তিনি আরো বলেন, আমি নাম বলতে পারব না। তবে বাচ্চুকে যারা মণিরামপুরের ওই হত্যা মামলায় জড়িয়ে ছিল তারা তার খুব কাছের বন্ধু। তারা তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই হত্যার সাথে বাচ্চুর বন্ধুরা জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এদিকে কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে ফোন পেয়ে খোলাডাঙ্গা গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে বাচ্চু গাজীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় রাস্তার পাশ থেকে রক্তমাখা ছুরি, স্যান্ডেল ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মৃতের পকেট থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি হত্যা মামলার রিকল (আদালত কর্তৃক জামিন সংক্রান্ত আদেশের কপি) পাওয়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম বাচ্চু গাজী। এছাড়া তার নিকট আত্মীয়রা তার মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
তিনি আরো জানান, বাচ্চু তার শ্বশুর বাড়ি শহরতলীর সন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় লেদ মিস্ত্রি ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকারীদের সনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম