যশোরে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে ছয়মাস পর ওই বিয়ে অস্বীকার করায় যশোর আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। বুধবার ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে স্বামী, কাজীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর শহরের বেজপাড়া বুনোপাড়ার প্রভাতি স্কুলের পাশের শফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী রিফাত সুলতানা, ছেলে সিফাত ইসলাম অনি, মেহেদীর স্ত্রী লিপি, বাচ্চুর স্ত্রী হ্যাপি এবং বারান্দীপাড়া এলাকার বিয়ের কাজী মোশারফ হোসেন।
বাদী জান্নাতুল ফেরদাউস মামলায় বলেছেন, পারিবারিকভাবে ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সিফাত ইসলাম অনির সাথে তার বিয়ে হয়। শহরের মণিহার কমিউনিটি সেন্টারে কাজী মোশারফ হোসেন এ বিয়ে পড়ান। এরপর জান্নাতুল ফেরদাউসকে আসামি সিফাত ইসলাম অনির বাড়িতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তারা সংসার করেন। এর কিছুদিন পরই আসামি অনি ব্যবসা করবেন বলে স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করেন। যৌতুকের এ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আসামি তাদের বিয়ে অস্বীকার করেন। গত ১০ মার্চ যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারপিট করে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেন অনি। গত ২২ এপ্রিল বিষয়টি মিমাংসার জন্য আসামি অনিসহ অন্যন্য আসামিদের বাদীর পিতার বাড়িতে ডেকে এনে যৌতুক ছাড়া সংসার করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ওই সময় আসামি অনি তাদের বিয়েকে অস্বীকার করে সেখান থেকে চলে যান। এরপর তারা কাজীকে খোঁজ করে বিয়ের রেজিস্ট্রির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। এ কারণে তিনি মঙ্গলবার আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।