যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় পপি খাতুন মরিয়ম নামে এক নারী চোরাকারবারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সিনিয়র দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত পপি খাতুন যশোরের বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার কামাল হোসেনের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে পিপি অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার পাঁচভুলট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার কামল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন বেনাপোল থেকে একজন নারী স্বর্ণ নিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তের দিকে আসছে। এরই ভিত্তিতে তিনি ফোর্স নিয়ে সীমান্তের শিকড়ী গ্রামের চারা বটতলা ব্রিজের উপর অবস্থান নেন। এসময় যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইক থামিয়ে তল্লাশিকালে কারবারি পপি স্বীকার করে তার দেহে স্বর্ণ সেটিং করা আছে। এ সময় সবার সামনে পপি তার দেহে সেটিং করা ১৩টি স্বর্ণের বার বের করে দেয়। যার ওজন ১ কেজি ৫শ’২৩ গ্রাম।
এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েক সুবেদার কামাল হোসেন বাদী হয়ে স্বর্ণ চোরাচালান দমন আইনে পপিকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটক পপিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি পপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত পপি খাতুন মরিয়ম বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।
খুলনা গেজেট/এএ