যশোরের ঝিকরগাছায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে হতভাগ্য স্বামী মুস্তাকিন হোসেন সুমন (২৮) নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সুমন উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ঘাতক স্ত্রী মিনা খাতুনকে (২৬) আটক করেছে। তিনি একই উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের নিহান শেখের মেয়ে।
নিহতের ভাইপো ফিরোজ জানান, গত ১৪ মার্চ দুপুরে মিনা খাতুনের ভাই, বোন ও মা তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর ওইদিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগের এক পর্যায়ে মিনা তার স্বামী সুমনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় তিনি পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। ১৬ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাপালো হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। এদিন গভীররাতে তার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিকরগাছা থানার এস আই হেলালুজ্জামান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেন ও ময়না তদন্ত হয়।
গ্রামবাসী জানায়, বুধবার বিকেলে সুমনের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঘাতক মিনা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় গ্রামের মহিলারা তাকে ধরে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানায়, সুমন হাসপাতালে ভর্তি হলে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি কেউ তার খোঁজ খবর নেয়নি। এসময় তারা সুমনের দেয়া স্বর্ণালঙ্কার ও ঘরে রাখা দামি আসবাবপত্র ও টাকা পয়সা সরিয়ে ফেলে। সুমনের মৃত্যুর পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী মিনাকে আটক করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই