যশোরের শার্শায় শিশু তাহসিনকে চুরি মামলায় দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। অভিযুক্তরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের মিলন গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুন ও তার শ্বশুর লুৎফর গাজী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম রোববার বিকেলে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুলের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তাার নাম রাখা হয় তাহসিন। জন্মের ২৪ দিনের মাথায় বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত এক নারী আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে যান। তিনি বাড়ির সদস্যদের বলেন, যাদের নতুন বাচ্চা হয়েছে তাদেরকে সরকার ৩ কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেবে। এরপর তিনি চলে যান।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সকালে ওই নারী ফের তাদের বাড়ি যান ও শিশুপুত্রের খোঁজ করেন। তখন আশরাফুল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই নারী আশরাফুল ইসলামের বৃদ্ধ পিতা জহর আলী গাজীকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখান থেকে তিনি জান্নাতুল, তার শিশুপুত্র তাহসিন ও শ্বশুর জহর আলী গাজীকে নিয়ে কথিত বাগআঁচড়া অফিসে যাবার কথা বলে বের হন। বাগআঁচড়া বাজারে আসার পর তারা স্থানীয় রিফাত হোটেলে বসেন। সেখানে জান্নাতুল নাস্তা খাওয়ার সময় পাশে শিশু তাহসিনকে কোলে করে বসেছিলেন অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারী। এরইমধ্যে জহর আলী গাজী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এরপর নাস্তা খাওয়া শেষে হাত ধুতে বেসিনে যাওয়ার পর জান্নাতুল ফিরে এসে দেখতে পান, তার সন্তানকে নিয়ে অজ্ঞাত নারী পালিয়ে গেছেন।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্তানের সন্ধান না পেয়ে আশরাফুল ইসলাম অজ্ঞাত ওই নারীকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। পরে চুরি চাওয়া শিশু উদ্ধার ও অভিযুক্তদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই