চৌদ্দ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে ছিল তীব্র যানজট। বাজারঘাট, দোকানপাট ও শপিংমলে ছিল মানুষের ব্যাপক ভিড়। যেন বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ! এদিন শহরের দৃশ্য সেটিই জানান দেয়।
যশোরে যে করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতিদিন শ’শ’ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ও মৃত্যুবরণ করছেন এটি যেন কারো স্মরণে ছিল না। সবাই শহরের বড়বাজারে কেনাকাটা করেছে পাল্লা দিয়ে। এ কারণে শহরের অধিকাংশ সড়কে ছিল ব্যাপক যানজট। শহরের এইচএমএম রোড ও কাপুড়িয়াপট্টিতে ছিল মানুষের ব্যাপক ভিড়। এ সড়কে পা ফেলার জায়গা ছিল না। মানুষ স্রোতের মতো বাজারে যাচ্ছিল। এই সড়কের সকল দোকানপাট খোলা ছিল। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না।
এ সড়কের পার্শবর্তী কালেক্টরেট মার্কেটেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। রিকশা ও ইজিবাইকের দখলে ছিল শহরের সব সড়ক। মুজিব সড়ক, গাড়িখানা রোড, চিত্রামোড়, মাইকপট্টি, আরএন রোড, মনিহার এলাকা পর্যন্ত ছিল ভয়াবহ যানজট। দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় রিকশা ও ইজিবাইক যাত্রীদের। পায়ে হেঁটে চলাচলও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব স্থানে গরমে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন মার্কেটসহ শপিংমলগুলোর চিত্র ছিল আরও করুন। মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করেছে। জুতা, কসমেটিকস, মুদিখানা, বাজারসহ সব মার্কেটে ক্রেতায় ঠাসা ছিল। শহরের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় ছিল না, যশোরে করোনায় প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দুপুর ১২টার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। খোলা ছিল না কোন দোকানপাট।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি