খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
আদালতে দু’আসামির জবানবন্দি

যশোরে রক্তের টাকার জন্য খুন হন আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে এক সিএনজি চালকের স্ত্রীর অপারেশনের জন্য রক্ত প্রয়োজন ছিলো। এ রক্তের জন্য আলম টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু রক্ত না দিয়ে ওই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার আলমকে সাতজন মিলে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আটক দুই আসামি। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম এ দুই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া দুই আসামি হলো, শহরের কাজীপাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে আইজুল ইসলাম ও একই এলাকার শহিদুল কাঠমিস্ত্রির ছেলে সোহান ।

জবানবন্দিতে আইজুল ও সোহান জানিয়েছেন, ওই সিএনজি চালকের স্ত্রী যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সিজারের জন্য তার স্ত্রীর দুই ব্যাগ রক্ত দরকার হওয়ায় আলমের শরাণাপন্ন হন। এ রক্ত আলম ম্যানেজ করে দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ১৩শ’ টাকা নিয়েছিলেন। এ কথা শুনে আইজুল ও সোহান হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দেন এবং আলমকে টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। আলম এ টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। গত ২৪ মার্চ দুপুরে বাবলু, ইকরামুল, রুমান, শাওন, বাবু ও তারা দু’জন কাজীপাড়ার গোলামপট্টির আঞ্জুমান আরা স্কুলের পেছনের রাস্তায় ডাব খাচ্ছিলেন। এ সময় আলম ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। তারা আলমকে থামিয়ে রক্তের টাকা ফেরত দিয়েছেন কিনা জানতে চায়। এসময় আলম উত্তেজিত হয়ে টাকা ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ডাব কাটা ছুরি দিয়ে আলমের উরুতে আঘাত করা হয়। এরপর দৌঁড় দিলে অন্য একজন এ ছুরি নিয়ে আলমের পিছনে কোপ দেন। তাদের মধ্যে আরও দু’জন ডাব দিয়ে আঘাত করলে আলম মাটিতে পড়ে যান। সকলে একসাথে চিৎকার করে ধাওয়া দিলে আলম উঠে বাড়ির দিকে দৌড়ে চলে যান। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ মার্চ ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুরাদ সাতজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সাথে এজাহার নামীয় সকলে জড়িত নন বলে বুধবার আদালতে জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, আলমের বড় ভাই কোরবান আলী পচাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। এ ঘটনার পর আলম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পচার বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক মামলা ছিল।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!