উচ্চ আদালত থেকে মামলার রায় পক্ষে এনে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নুরানিয়া গ্রামের আশরাফ আলী ও তার ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম এবং কেশবপুরের বুরুলী গ্রামের খালেক কাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম কাজী।
মঙ্গলবার (১০ মে) কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে কাইয়ুম হোসেন বাদী হয়ে আদালতে এ মামলাটি করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাইয়ুম হোসেন কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজারে সিদ্দিকিয়া কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতেন। দোকানে মুজাহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয়। মুজাহিদুল নিজেকে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এরপর থেকে মুজাহিদুল মাঝে মধ্যে কাইয়ুমের সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন।
এরমধ্যে কাইয়ুমদের পৈত্রিক জমি নিয়ে করা মামলায় রায় তাদের বিপক্ষে চলে যায়। এতে কাইয়ুমসহ পরিবারের লোকজন বেশ হতাশ হয়ে পড়েন। বিষয়টি মুজাহিদুল জানতে পেরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করে তাদের পক্ষে রায় এনে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়। তার কথা বিশ্বাস করে নিম্ন আদালতের রায়ের বিপক্ষে আপিল ও রায় পক্ষে এনে দেয়ার কথা বলে অপর দু’ আসামির সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং নগদ, বিকাশ ও সশরীরে মোট পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরমধ্যে কাইয়ুম ও তার পরিবারের লোকজন আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মুজাহিদুল আদালতে কোনো আপিল করেননি। তারা জানতে পারেন তিনি অপর আসামি নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে এ জাতীয় প্রতারণার মাধ্যমে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।