অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোরের রামনগরের জামেয়া ইসলামিয়া ও হালিমা সাদেম এতিমখানার পরিচালক মাওলানা লুৎফর রহমান ফারুকীকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা নুরুন্নবী।
তিনি জানান, মাওলানা লুৎফর রহমান ফারুকী মণিরামপুর উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে। ২০০৬ সালে রামনগরে জামেয়া ইসলামিয়া ও হালিমা সাদেম এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তার কয়েক বছর পরেই ফারুকীকে পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেন।
এক পর্যায়ে তিনি ভালো শিক্ষকদের মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত করেন। এরপর নিজের ইচ্ছামত মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নিজে আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসার জমি দেখিয়ে লোন করে পাশেই নিজ নামে তিন বিঘা জমি ক্রয় করেন। ভুয়া কাগজপত্র সংগ্রহ করে মাদ্রাসার জমি নিজ নামে করার চেষ্টা করেন।
তিনি নিজে আকবর হজ্জ্ব গ্রুপের মালিক। হাজীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনি ৬ মাসের বেশি সময় জেলে ছিলেন। এ কারণে মাদ্রাসা পরিচালনা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে রবিবার পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি মাকসুদ আহম্মেদ, শেখ ইমামুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম আহম্মেদ খোকন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম রেজা বাবলু, অর্থ সম্পাদক মীর্জা ইউনুস আলী বেগ, শিক্ষা সম্পাদক শামসুর রহমান, সহ শিক্ষা সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, আবাসন সম্পাদক সাইদুর রহমান, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, হিসাব পরিচালনা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুল আলম ভুুেট্টা, বনায়ন সম্পাদক লোকমান হোসেন, সদস্য আব্দুল মালেক, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ফয়েজুল ইসলাম, এনাম সহিদ, আব্দুল হামিদ, ইসলাম আহম্মাদ, পারভেজ আলম ভোলা, ইলিয়াছ হোসেনসহ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/কেএ