যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশ পৃথক ৪টি অভিযান চালিয়ে এক কেজি গাঁজা ও ৩১০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৭ জনকে আটক করেছে। ৫ এপ্রিল গভীররাতে যশোর সদর, বেনাপোল ও শার্শা এলাকায় অভিযান চালায় ৪টি টিম। এ ঘটনায় থানায় ৪টি পৃথক মামলা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৫ এপ্রিল রাতে ডিবি যশোরের এসআই সোলায়মান আক্কাস, এএসআই শফিউর রহমান, এএসআই নাজমুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম যশোর সদর উপজেলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুমার বাগডাঙ্গা গ্রামের মাদক কারবারী সুমন হোসেনকে আটক ও তার বসত ঘরের সামনের উঠান থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ৪০ হাজার টাকা।
এছাড়া ৬ এপ্রিল ডিবির এসআই রাজেশ কুমার দাশ, এসআই আরিফুল ইসলাম, এএসআই নির্মল কুমার ঘোষের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আটক হয় চৌগাছার আড়শিংড়ী পুকুরিয়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে শাওন মিয়া, ছুটারহুদা পূর্বপাড়ার মশিয়ার রহমান মন্ডলের ছেলে তৌকির হোসেন ওরফে আল-আমিন। একইদিন ডিবি যশোরের এসআই রইচ আহমেদ, এসআই নিতাই চন্দ্র দাস, এএসআই গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল অভিযান চালান বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায়। এসময় তারা শিকড়ী মাদ্রাসাপাড়ার ফজলে করিম মাস্টারের বসতবাড়ির উত্তর পাশ থেকে আটক করেন ৩ কারবারীকে।
এরা হচ্ছে, শিকড়ী মাঝেরপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান, নুর হোসেনের ছেলে জামসের হোসেন ও পুটখালির রমজান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান। এদের কাছ থেকে ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।
এছাড়া শার্শা থানা পুলিশ ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ সেকেন্দার ওরফে সেকেনকে আটক করে। ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬ টায় শার্শা থানার এসআই মাহফুজের নেতৃত্বে পাঁচভূলট গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কারবারি সেকেন্দারকে ওই ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইমাম সরদারের ছেলে। এ সংক্রান্তে যশোর কোতোয়ালি, শার্শা ও বেনাপোল থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম