যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মা ও বাবাকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্লা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো, যশোর শহরের বকচর হুশতলা এলকার ভাড়াটিয়া ও হাবুল্লা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাহিদুল রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসমি সাহিদুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার মামলার বাদীর বাবা ও মা। ২০২১ সালের ১০ মার্চ জান্নাতুল মাওয়া ভালোবেসে মিরাজুল ইসলামকে বিয়ে করেন। তার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি পিতা-মাতা। জান্নাতুল মাওয়া গর্ভবতী হলে তার পিতা ও মাতা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর জান্নাতুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঢাকায় নিয়ে তার দুলাভাইয়ের বাসায় তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। একপর্যায়ে তাকে আবার যশোরের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসা হয়। এমরধ্যে জান্নাতুল মাওয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর জোর করে স্বামীকে তালাক দেয়ায়। ৯ সেপ্টেম্বর শহরের বন্ধন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে আবার তাকে বাসায় নেয়া হয়। এরপর ১১ নভেম্বর সিটি হসপিটালে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে তাকে বাসায় নিয়ে গেলে বিষয়টি মেয়ে জানতে পারেন।
এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া আবারও মিরাজুলকে বিয়ে করেন। জান্নাতুল মাওয়ার অসম্মতিতে গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে পিতা ও মাতাকে আসামি করে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই