যশোরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শোভাযাত্রাযশোরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দুই দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর র্যালি শেষ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়। পরে এটি চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শার বেনাপোলে যায়। শনিবার র্যালিটি যায় বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর।
জাতীয় পতাকা সজ্জিত বর্ণাঢ্য সাজে পাঁচটি ট্রাকে ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই র্যালিতে অংশ নেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এক পিকআপ পুলিশ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও জরুরি চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন। শুক্রবার বেলা ১১ টায় যশোর থেকে চৌগাছা শহরের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যে পৌছালে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের অভ্যর্থনা জানান। এসময় তাদের সাথে ছিলেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন নাহার পপি, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শওকত আলী, চৌগাছা থানার এসআই বাচ্চু শেখ প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধারা চৌগাছা শহরের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রোড-শো করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র্যালিটি চৌগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে যায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর রোড-শো করে উপজেলা পরিষদে যায় সুবর্ণজয়ন্তী র্যালিটি। বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাদেরকে সম্মাননা পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সুবর্ণজয়ন্তী র্যালিটি ঝিকরগাছা উপজেলায় রওনা হয়। শনিবারও যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনুরূপ শোভাযাত্রা বের হয়।
যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতা আফজাল হোসেন দোদুল জানান, র্যালিতে যশোর থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঘারপাড়া, অভয়নগরসহ অন্য উপজেলার ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছেন। শনিবার অন্য উপজেলাগুলোতে শোভাযাত্রায় যশোর সদরের ৩৫ জনের সাথে চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শার পাঁচজন করে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/কেএ