খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

যশোরে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নৈশ প্রহরী নিহত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর 

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া বাওড় পাড় থেকে আব্দুর রহিম লস্কার (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ  যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহষ্পতিবার রাতে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন রহিম । তিনি পার্শ্ববর্তী ছোট বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত বারেক লস্করের ছেলে ।
নিহতের স্বজনরা জানান, আব্দুর রহিম কয়েতখালী বিলে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি বিলটি অন্যের দখলে যাওয়ায় তিনি চাকরিচুত হন। বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি প্রতিবেশী ইসরাইল ও বাবু খাকে সাথে নিয়ে কয়েতখালী বিলে মাছ ধরতে যান। এসময় ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তিনজন তিন দিকে দৌড় দেন। অন্য দুইজন নিজ বাড়িতে ফিরলেও আব্দুর রহিম নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আড়পাড়া বাওড় পাড়ে আব্দুর রহিমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে  পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন বলেন, কয়েতখালী বিল নিয়ে বিরোধ চলছিলো। রহিম একটি পক্ষের সাথে ছিলো। অপরপক্ষ পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়া কায়েতখালীর সাইফুল মেম্বার, রাসেল, আনোয়ারসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এ হত্যার সাথে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, আব্দুর রহিমের হতার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!