যশোরে পৃথক নয়টি মামলায় ১০ আসামির সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। বুধ ও বৃহস্পতিবার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস মাদক মামলার এসব আসামিদের সাজা প্রদান করে বিভিন্ন শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমিন ও ভীম সেন দাস।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) মাদক মামলায় বেনাপোল পুটখালী গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামকে দুই বছরের সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এছাড়া একই আদালত বুধবার পৃথক আট মামলায় আরও নয় আসামিকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেন। নয়জনের মধ্যে সাতজনকে দুই বছরের ও বাকি দু’জনকে এক বছরের মেয়াদে প্রবেশনে মুক্তি দেন।
পৃথক শর্তে দুই বছরের জন্য প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বেতাঙ্গী জাবাখালী গ্রামের শহিদুল্লাহ গাজীর ছেলে মোহাম্মদ বাদশা, বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে মিয়ারাজ আলী, সাদীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ টুকু, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার আজগর আলী গেদার ছেলে রনি, রায়পাড়া মাদ্রাসা রোডের নুর হোসেনের ছেলে সাবু, বোনপোল বড়আঁচড়া গ্রামের আরিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন রাবি, ফরিদপুর সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত নিশিকান্ত দাসের ছেলে গৌতম কুমার দাস। এক বছরের সাজা প্রদান করার পর প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছেন যশোরের বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে ফাতিমা খাতুন ও একই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের মেয়ে সোহাগী আক্তার। এসব আসামিদের প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে বাড়িতে থেকে বিভিন্ন শর্ত মানতে হবে।
শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, করোনাকালীন তাকে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। নিজ বাড়ির আঙিনায় তিনটি তালগাছ ও দুটি নারিকেল গাছ লাগাতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। পরিবারের উপর দায়িত্বশীল হয়ে পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে হবে। নিজ এলাকার প্রতিবন্ধীদের পরিচর্যা ও আহার করাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্র দেখতে হবে। দরিদ্রকে দুপুরের আহার করাতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও সেবা গ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই