যশোরে এক পুলিশ সদস্যের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। চোরেরা তাদের সাড়ে ৩২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়েছে।
সূত্র জানায়, যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশের একটি দোকানে ১৭ মে ৩০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় দোকান মালিকের স্ত্রী শারমিন সুলতানা চার কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো, শেখহাটি গ্রামের আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের ছেলে ইমদাদুল ইসলাম, হাশিমপুর গ্রামের ইকরামুল ইসলাম ও আক্তারুল ইসলাম এবং শহরের বেজপাড়া এলাকার ঋষিকেশ ভৌমিক।
মামলায় বলা হয়েছে, সদর পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে মেসার্স পাপাই ইন্টারন্যাশনাল নামে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকল আসামি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তার স্বামী হাসানুর রহমান এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। একই ভবনের তৃতীয়তলায় তারা বসবাস করেন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে হাসানুর রহমান বাইরে গেলে তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা দেখাশুনা করেন। ১৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মচারিদের দোকানে রেখে হাসানুর রহমান ব্যবসায়িক কাজে যশোরের বাইরে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদী শারমিন সুলতানা নিচে নেমে দেখেন দোকানে কোনো কর্মচারী নেই। তিনি ভেতরে যেয়ে দেখেন নগদ টাকাসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে। পাশাপাশি এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের স্বাক্ষরিত কয়েকটি একাউন্টের চেক বইয়ের পাতাও নেই।
এদিকে, শহরের পুলিশ লাইনের পূর্বপাশে মণিরামপুর থানার দারোগা প্রসেনজিৎ মল্লিকের ভাড়া বাড়িতে চুরি হয়েছে। তিনি ওই এলাকার আব্দুল হালিমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। গত ১৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্তানদের নিয়ে মণিরামপুরে স্বামীর কাছে যান স্ত্রী সুষমা মন্ডল। ১৭ মে সকালে জানতে পারেন তার বাড়িতে চুরি হয়েছে। ফিরে এসে দেখেন ঘরে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ দু’ লাখ ৪৫ হাজার নয়শ’ টাকার মালামাল নেই। এ ঘটনায় সুষমা মন্ডল বাদী হয়ে ১৮ মে রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত শুরু করেছেন। আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি