যশোরে হত্যা চেষ্টা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ মে) চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের নবীছন নেছা ও সামছুর রহমান বাদী হয়ে পুথক এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় অভিযোগের তদন্ত করে এসিল্যান্ড ও ওসি চৌগাছাকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, চৌগাছার মুক্তারপুর গ্রামের মৃত রেজাউল বিশ্বাসে ছেলে ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুুুুুুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এএসআই আব্দুল হাই, তার ভাই লিটন ও তার স্ত্রী আলেয়া খাতুন।
নবীছন নেছা মামলায় উল্লেখ করেন, গত ১৯ এপ্রিল আসামিরা নুরুল হুদা ও রুমানার নাম ধরে ডাকাডাকি ও গালিগালাজ করতে থাকেন। এ কাজ করতে নিষেধ করলে আসামিরা নবীছন নেছা, নুরুল হুদা ও রুমানাকে মারপিটে গুরুতর জখম করেন। আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, সামছুর রহমানের অভিযোগে জানা গেছে, বাদী ও আসামিরা আপন ভাই। পিতার মৃত্যুর পর আসামি আব্দুল হাই ও লিটন মুক্তারপুর মৌজার ১১১৬ ও ১১১৭ দাগের ৩০ শতক, ১৪০৫ দাগের ২৭ শতক জমি জোর করে দখলের চেষ্টা করেন। পরে তিনি জানতে পারেন আসামিরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এ জমি তাদের নামে হেবা দলিল করে নিয়েছেন। একইসাথে আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে হেবা দলিল সঠিক বলে নামপত্তন করেও দিয়েছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক করা হলে আসামিরা তা মানতে রাজি না হওয়া খুন-জখমের হুমকি দেয় চলে যান। এ কারণে তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি