যশোরে যুবদলের সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশি ধাওয়া ও লাঠিচার্জে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২২ জন যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সমাবেশের অনুমতি না নেয়া ও নাশকতার অভিযোগে পুলিশ এ অভিযান চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির লালদীঘির পাড়স্থ কার্যালয়ে জেলা যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল। সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা আকবার আলী হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সমাবেশ শুরু হবার সাথে সাথেই পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে চলে আসে। এসময় অনুমতি না থাকায় সমাবেশ বন্ধ করার কথা বলে পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন, মামুন হোসেন (২৭), আজিম রহমান (৩০), কবির হোসেন (৩৮), সজিব (৩০), রফিকুল ইসলাম (১৮), আলমগীর হোসেন বাবু (৪০), শাহিন হোসেন (১৮), ইমরান হোসেন (৩৫), সাগর (৪১), ওবাইদুল ইসলাম (৪২), নান্নু মিয়া (৪২), আশরাফুল আলম (৪০), কালু মৃধা (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩০), জাকির হোসেন (৪৮), তারেক (৪৪), মোহন শেখ (৩৮), মনির হোসেন (৩৪), ফেরদৌস গাজী (৫০), আক্কাজ মিয়া (৩২), কলিম উদ্দীন (৪০) ও আজিম (৩০)। বাকিরা স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে ডিবি পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে এসে বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২২ জন জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনা লজ্জাজনক। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক সভা সমাবেশে পুলিশি হামলা শিষ্ঠাচার পরিপন্থী ও স্বৈরাচারী আচারণ। যে পথ বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনী বেছে নিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ জাতীয় কোন ঘটনা আমরা দেখতে চাই না।
বিষয়টি নিয়ে যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপন কুমার সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করছিল যুবদল। এছাড়া পুলিশের কাছে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের তথ্য ছিল। আমরা অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ বন্ধ করার কথা বললে নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই