যশোরে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও একটি পরিবারকে হুমকির অভিযোগে সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের জগদিস রায়ের স্ত্রী সুমিত্রা বিশ্বাস এ মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। যদিও শাহারুল তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে আবদার হোসেন, মৃত আব্দুল মালেকের দুই ছেলে আব্দুল খালেক ও মোতালেব হোসেন এবং মোতালেব হোসেনের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওই গ্রামে ৯ শতক জমির উপরে বাড়ি নির্মাণ করে স্বামী ও দুটি সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন সুমিত্রা বিশ্বাস। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করার জন্য আসামিরা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। সে কারণে বিভিন্ন লোকজনের কাছে আসামিরা বলে বেড়াচ্ছিল ওই বাড়িটি তারা কিনে নিয়েছে। গত ১০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সকল আসামি বাদীর বাড়িতে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাড়ি থেকে নামতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা বাদী ও তার স্বামী-সন্তানদের গালিগালাজ ও মারপিট শুরু করে। এসময় তারা জানায়, বাড়িতে থাকতে হলে বাদীর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এসময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িটি সুমিত্রা বিশ্বাস অবৈধভাবে দখলে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে আবদার আদালতে মামলা করেছেন। আদালতের নির্দেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ওই জমি দখলমুক্ত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। এর বাইরে কিছুই নয়। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান শাহারুল।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল