যশোরে চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আড়াই ভরি সোনার গহনা, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ল্যাপটপ, কাপড়সহ চুরির কাজে ব্যবহৃত ইজিবাইক।
আটককৃতরা হলো, যশোর সদর উপজেলার তপসীডাঙ্গা গ্রামের রাকীন হোসেন, একই গ্রামের ইসমাইল হোসেন, চাঁচড়া রায়পাড়ার মহনা ওরফে রচনা এবং চোরাই সোনা কারবারী নাজির শংকরপুরের ফিরোজ হোসেন। আটককৃতদের মধ্যে রচনা ও ফিরোজ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের মহিবুরের বাড়ি থেকে চোরচক্রের সদস্যরা পাঁচ ভরি সোনা, লাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকাসহ আট লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। চোরাই মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তারা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম চাঁচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে রাকিন ও ইসমাইলকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে পরবর্তিতে বড় বাজার এলাকার মর্জিনা জুয়েলার্স থেকে ওই চোরাই সোনা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে মোহনার কাছ থেকে বাকি মালামাল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আরও দুই জন। তারা হলো, মোহনার স্বামী রবিউল ইসলাম রবি ও মন্ডলগাতী গ্রামের রিজভী আহমেদ রাফীন। তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরির সাথে জড়িত। ইতিমধ্যে তারা দুইজনে গত ১০ জানুয়ারি রাতে মণিরামপুর এলাকার একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক ও গণপিটুনী খেয়েছে। বর্তমানে তারা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে