নতুন জাতের আলু উৎপাদনে রেকর্ড গড়ছে বিএডিসি। সানসাইন, সান্তানা ও কুইনাইনসহ ২৭ জাতের আলু হেক্টর প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে। শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে যশোরেই এ বছর এসব আলুর আবাদ হয়েছে।
শনিবার সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব তথ্য জানান, বিএডিসি বীজ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ চন্দ্র দে। তিনি জানান, দেশে প্রচলিত ডায়মন্ড ব্যান্ডের আলুর জাত কমপক্ষে ৪০ বছর আগে এসেছে। দীর্ঘদিন হওয়ায় বর্তমানে এর উৎপাদন কমে এসেছে ও নানা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এ আলু বিদেশে রপ্তানিতেও সফলতা আসছে না। এ কারণে বিএডিসি বীজ বিভাগ গত কয়েক বছর এ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছে। যার ফলশ্রæতিতে আলুর নতুন ২৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে বিএডিসি বীজ বিভাগ। এরমধ্যে নেদারল্যান্ড থেকে আনা সানসাইন, সান্তানা ও কুইনাইনসহ ২৭টি জাতের চাষ দেশে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসব আলুর আবাদ যশোরেও হয়েছে এবং উৎপাদন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, এরই প্রেক্ষিতে যশোরাঞ্চলের আবাদ বৃদ্ধিতে নাটুয়াপাড়া গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএডিসি ঢাকার প্রকল্প পরিচালক আবীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি খামার বিভাগের ব্যবস্থাপক রিপন কুমার মন্ডল, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক দিপঙ্কর দাশ, বিএডিসি ঢাকার যুগ্ম পরিচালক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক দেবদাস সাহা। আলোচনা করেন বিএডিসি খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক একেএম কামরুজ্জামান, যশোরের উপ পরিচালক একেএম শামীম রানা। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে নাটুয়াপাড়া গ্রামের অর্ধশত কৃষক উপস্থিত ছিলেন।