খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি
প্রতিষ্ঠায় মানা হয়নি কোনো শর্ত

যশোরে চারটি ইটভাটায় চার লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে ইটভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক বসত বাড়ি, কবরস্থান ও মসজিদসহ স্পর্শকাতর অনেক প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে ভাটা মালিক কোনো নিয়মনীতির ধার ধারছেন না। এভাবে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলা যশোর শহরতলীর গোয়ালদহের সুপার ব্র্ক্সিসহ ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সুপার ব্রিক্সের মালিক একাধিক বিয়ের নায়ক মাহিদিয়ার মাদ্রাসা সুপার ফারুক হোসেনকে ১ লাখ টাকাসহ ভাটাগুলো থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত ভাটা আইন ও পরিবেশবিধি উপেক্ষা করে পরিচালিত ভাটা ৪টির মালিক পক্ষকে সতর্ক করেন পরিবেশ সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরআগেও সুপার ভাটায় ৪ বার অভিযান চলে। দু’বার ভেঙে দেয়া হয়।

যশোরের গোয়ালদহে আবাসিক এলাকায় ধানী ও কৃষি জমি নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে ইট ভাটা। ফারুক হোসেনের অবৈধ এই ভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক বসত বাড়ি, রয়েছে কবরস্থান ও মসজিদসহ স্পর্শকাতর অনেক প্রতিষ্ঠান। বিঘার পর বিঘা ধানী ও কৃষি জমি নষ্ট করে পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নির্মাণ করা হয় ভাটাটি। গোয়ালদহ মৌজার আরএস দাগ ৫৫৪, ৫৫২, ৫৫১, ৫৫০, ৫৪৯, ৫৫৩, ২৫২, ২৫১, ২৫০, ২৪৯, ২৪৮, ৩৩৩, ১০৫৬, ১০৫৯, ১০৫৮, ১০৫৭, ১০৬১, ৯৮৫, ৯৮৬, ৯৮৮, ৯৮৭, ৯৮৩, ৯৮২, ৯৮১, ৯৮০, ৯৭৭, ৯৭০সহ আরো ১৬টি দাগের ধানী জমি গ্রাস করে ভাটা চালানো হচ্ছে। এই অনিয়মতান্ত্রিক ইটভাটার কারণে এলাকার চাষাবাদ ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ভাটার আশপাশের ধানী ও ফসলি জমিতে সেচ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া, ভাটার আশপাশের ঘরবাড়ি গাছ পালা ও মাঠের ধানে প্রতিকুল প্রভাবসহ এলাকাটি জনগনের বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ঘটনায় ভাটা বন্ধের দাবি জানান স্থানীয় মানুষ।

বিধিবহির্ভূত ভাটা নির্মাণের বিরুদ্ধে যশোর জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযান পরিচালানা করা হয়। এদিন সকাল থেকে ঢাকা পরিবেশ সদর দপ্তর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা পারভীন আসেন যশোরে। উপ পরিচালক সাইদ আনোয়ার, সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি টিম নিয়ে চলে অভিযান। ফারুক হোসেনের সুপার ব্রিকসকে সম্পূর্ণ অবৈধ আখ্যা দিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের টিমটি একই ধরণের অভিযোগে পাশের মিকুল ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ টাক জরিমানা করে। এরপর যশোরের সিরাজসিংহা এলাকার স্মার্ট ব্রিকস ও প্রাইম ২ ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরণের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সাঈদ আনোয়ার ও সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, নিষিদ্ধ এলাকায় ওই অবৈধ ভাটাগুলোর অবস্থান হওয়ায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়। ভাটাগুলো পরিবেশ বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলেছে। ভাটা ও পরিবেশ আইন পরিপন্থি হলে পরিবেশ অধিদপ্তর কাউকে ছাড় দেবে না। অবশ্যই শর্তের মধ্যে থাকতে হবে। সুপার ব্রিকস মালিক ফারুক হোসেন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে আসছে। সতর্ক করা হয়েছে সবাইকে। ভাটায় অসংগতি অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত হলে অবশ্যই সেই ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!